পাকিস্তানে একসময় দোল খেলা নিষিদ্ধ ছিল। ছিটেফোঁটা রং দেখলেই নেওয়া হত ব্যবস্থা। ২০০৬ সালে করাচীর স্বামীনারায়ণ মন্দিরে দোল খেলা হবে বলে ঠিক হল। তবে দারুণভাবেই ছিল আক্রান্ত হওয়ার ভয়। এগিয়ে এল বামপন্থী ছাত্র সংগঠন এনএসএফ। মন্দিরে সেবার ১২৩ জন দোল খেলেছিলেন।
বাইরে হাতে হাত ধরে হিউম্যান ব্যারিকেড বা মানব-বন্ধন করে দাঁড়িয়েছিলেন ১৪ হাজার মানুষ। প্রতি বছর এই কর্মসূচি পালন করে এনএসএফ। তাদের লড়াই বৃথা যায়নি। পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশ সরকার কয়েক বছর থেকে হোলিকে জাতীয় ছুটি ঘোষণা করেছে। এমনকি এই বছর সিন্ধু প্রদেশের সরকার কর্মরত হিন্দু কর্মচারীদের বেতন হোলির আগেই দিয়ে দিলেন।
রপর সারা পাকিস্তান জুড়েই ছড়িয়ে পড়লো বসন্ত। প্রতি বছরের মতো এবারেও গোটা দেশ মেতে উঠেছে রঙের খেলায়। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান সেদেশের হিন্দুদের হোলির শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বেশ কিছু পাক উচ্চপদস্থ অফিসার এবং রাজনৈতিক দলের নেতাদের সপরিবারে দোল খেলতে দেখা গিয়েছে। শুধু হিন্দুরাই নন, জাতি-ধর্ম নির্বিশেষে পাকিস্তানের সাধারণ মানুষ রঙে রাঙিয়েছেন একে অপরকে। উৎসবের, সম্প্রীতির কোনও কাঁটাতার হয় না তা আরেকবার প্রমাণ করলো পাকিস্তান!
Picture Courtesy – Dr. Raja Shad, Naseer Ahmad
Author Profile

Latest entries
EXCLUSIVE NEWS2020.10.20মানুষের থেকেও বেশি বিশ্বাসযোগ্য ওরা! ২৫টি কুকুর এবং ৯টি বেড়াল নিয়ে ভরা সংসার যুবতীর!
EXCLUSIVE NEWS2020.06.09ফুটবল স্টেডিয়ামে ৫ মিটারের সামাজিক দূরত্ব মেনেই হল চাকরির পরীক্ষা
EXCLUSIVE NEWS2020.05.25ঈদে চূড়ান্ত সম্প্রীতির নজির ফেসবুক পোস্টে, শুভেচ্ছা বার্তায় আপ্লুত নেট-দুনিয়া
EXCLUSIVE NEWS2020.04.19লকডাউনেও রেশন ডিলারের চুরি, পুলিশের সক্রিয় ভূমিকায় ধরা পড়লো অভিযুক্ত!