চেন্নাই শহরে ঘুরবেন, দেখবেন এবং বাঙালি নস্টালজিয়াতেও ডুববেন। সবই তো করবেন আর খাবার? শুধু ওই ইডলি, ধোসা, আর চিকেন চেট্টিনাড? এই খেয়ে কি আর বাঙালির রসনা তৃপ্তি হয়? ভোজনরসিক বাঙালি বেড়াতে গিয়ে এত অল্পে কি খুশি হবে? হয়তো সবাই দামোদর শেঠ নয়, তবুও বেড়াতে গিয়ে মাছ বা খাসির মাংস চাই। ঘুরতে ঘুরতে হাতে নিদেনপক্ষে দুটো চপ আর বিরিয়ানির থালার সামনে না বসলে খাওয়া আর ঘোরা দুটোই কেমন ম্যাড়ম্যাড়ে লাগে। তা হলে চলুন দেখেই ফেলি কি কি খাবার আপনার রসনাতৃপ্তির জন্য অপেক্ষা করে আছে এই শহরে।


ধোসা, হ্যাঁ, ধোসা তো আছেই। প্লেন, পেপার, ওনিয়ন, মশালা, রাভা, ডিমের মধ্যে নতুনত্বের ছোঁয়া পাবেন। ইডলিতে কোনো নতুনত্ব খুঁজতে যাবেন না, তবে একবার অবশ্যই চাটনি সহযোগে চেখে দেখতে হবে।চিকেন চেট্টিনাড, হ্যাঁ, আগেও বলেছি, আবার ও বলছি, খেয়ে দেখতেই হবে। এটা না খেলে চেন্নাই ভ্রমণ অসম্পূর্ণ। মালাবার পরোটা হয়তো চেন্নাই তথা তামিলনাড়ুর নিজস্ব খাবার নয়। তবে খোদ চেন্নাই শহরে লাচ্ছা পরোটার এই ছোট ভাই কেরালার থেকেও বেশী জনপ্রিয়।
মোচার বড়া, হ্যাঁ আপনি ঠিকই পড়েছেন, তবে এটা বড়া, চপ নয়। এ রাজ্যেও কলা গাছের সব অংশই খুব জনপ্রিয়। মোচার বড়া চপের মতো চলতেই পারে। সমুদ্রসৈকতে ঘুরতে ঘুরতে বাঙালির চপের প্রকৃত পরিপূরক হল ভাজি ।


বিরিয়ানি, বোঝাই যাচ্ছে সেই নস্টালজিক একটা শব্দ যার নামটাই যথেষ্ট। আজ্ঞে না, রেস্টুরেন্টের মেনুকার্ড দেখে আপনি দোলাচলে ভুগবেনই, আম্বুর না তালপাকাট্টি? আজ আম্বুর বিরিয়ানি খেয়ে কালকের নৈশ ভোজের জন্য তুলে রাখুন তালপাকাট্টি বিরিয়ানি। কারণ কোনোটাই ঠিক ছাড়া যাবে না।
ফিল্টার কফি, স্টিলের বাটির ওপর একটা স্টিলের গ্লাস। সেই গ্লাস ভর্তি গরম পানীয় কফিপ্রেমীদের কাছে স্বর্গ। কফিপ্রেমী না হলেও একবার খেয়ে দেখুন, একটু প্রেম প্রেম পাবেই।
পায়েসম্, হ্যাঁ, হ্যাঁ ওই পায়েস। তবে বেশ খানিকটা পাতলা আর বহু রকমের। তবে জেসমিন পায়েসম্ না খেলে খুবই দুঃখ পাবেন।
তাহলে আর কি, বেড়িয়ে পড়ুন, মুখে হাসি, পেটে ক্ষিধে, হাতে ফোন আর ফোনে ম্যাপ নিয়ে, রসনাতৃপ্তি আজ হবেই হবে।
